মে, ১৯, ২০২৫
দেশলাই
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্পসরগম
    • উপন্যাস
    • অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক
  • গদ্যধারা
  • উড়ন্তডুবুরী
    • সাক্ষাৎকার
    • রিভিউ
  • এক্সিবিশন
  • শিল্প
    • নাটক
    • চলচ্চিত্র
  • ধারাবাহিক
  • বিশেষ সংখ্যা
  • ডিরেক্টরি
    • মেলা
    • নাটক দল
    • বাউল দল
    • সাংস্কৃতিক সংগঠন
    • পাঠাগার
    • থিয়েটার
    • স্মরণ
    • প্রত্নতত্ত্ব
    • সাহিত্য পুরস্কার
    • প্রকাশনা সংস্থা
  • কেনাকাটা
    • বই : গদ্য
    • বই : গল্প
    • বই : কবিতা
    • বই : উপন্যাস
    • বই : দেড়ফর্মা
    • বই : নাটক ও চলচ্চিত্র
    • বই : ছড়া
    • লিটলম্যাগ
দেশলাই
দেশলাই
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্পসরগম
    • উপন্যাস
    • অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক
  • গদ্যধারা
  • উড়ন্তডুবুরী
    • সাক্ষাৎকার
    • রিভিউ
  • এক্সিবিশন
  • শিল্প
    • নাটক
    • চলচ্চিত্র
  • ধারাবাহিক
  • বিশেষ সংখ্যা
  • ডিরেক্টরি
    • মেলা
    • নাটক দল
    • বাউল দল
    • সাংস্কৃতিক সংগঠন
    • পাঠাগার
    • থিয়েটার
    • স্মরণ
    • প্রত্নতত্ত্ব
    • সাহিত্য পুরস্কার
    • প্রকাশনা সংস্থা
  • কেনাকাটা
    • বই : গদ্য
    • বই : গল্প
    • বই : কবিতা
    • বই : উপন্যাস
    • বই : দেড়ফর্মা
    • বই : নাটক ও চলচ্চিত্র
    • বই : ছড়া
    • লিটলম্যাগ
টাইপ করা শুরু করুন এবং বন্ধ করতে "এন্টার" বা "ESC" টিপুন
  1. আপনি দেখছেন: হোম >> আধাখেচরা নগরীর কুশনে ...

আধাখেচরা নগরীর কুশনে

আবুল এহসান

জানুয়ারী, ১১, ২০২৩
অলংকরন: রাফি আহমেদ চঞ্চল

চাঁদের চুমু

চাঁদটা ছিল আমার দুহাত সামনে।
তার সমান্তরালে হাঁটবো বলে দ্রুতি বাড়িয়েছি যতো
ততই দূরে সরে গেছে সে।
আহা চাঁদ, সোনালী অধরা আমার, ক্লান্তিই ছিল তোমার শেষ উপহার!
একদার কিশোর এভাবেই জেনেছিল,
উল্টোযাত্রায় নিজের পথে কিভাবে কাঁধে ছোঁয়াতে হয় চাঁদের চুমু।
মায়ের মমতাঘেরা চোখ কতটা একান্ধ হলে
সৃষ্টি পৌঁছে গন্তেব্যে,
ওকথা ভুলিনি আমি!
আমার বাউলিপনায় তিক্ত বাবা যখন রাতের ছিটকিনি তুলে
ঘরকে করতেন বাহির,
মা তখনো খুঁজে পাওয়া চাবির ঘোছার মতো
গলি থেকে আমাকে কুড়িয়ে বেঁধেছেন সযত্ন আঁচলে,
ওাতের গভীরতাকে বুকে টেনে
সঙ্গোপনে তাড়িয়েছেন আমার দুবির্নীত উপোস;
যেন কতদিন খাওয়া হয়নি তার!

প্রগাঢ় সবুজে উজ্জ্বল বাউলের মতো আমার সুগন্ধি মা যেন
নাড়ীর টানেই বুঝতেন,
এঁদো ডোবা আর ঝোপ-জংলার ভিতর ঝিঁঝির ডাকই সত্য ভাষণ।
আমি ভুলিনি ওসব কথা।
সকল গ্লানিকে উপেক্ষায় ঠেলে আজো তাই ব্যাঙ ডাকা ঘোরেলা সন্ধ্যায়
এ মাটির উর্বরা গভীরে পাতি কান,
আধাখেচরা নগরীর কুশনে নিবিড় আস্থায় রুয়ে যাই
সূঁচালো ডগার জ্বালা;
যেন বসলেই মনে পড়ে যায় অনুপম সবুজে ঢাকা তোমার নিঝুম মা-এর মুখ!

 

 

আমার সব্জিবাগান

ভাল ফলনের পূর্বশর্ত মানসম্মত বীজ।
একটি সব্জিবাগানের জন্যে আমি তা করেছি।
সময়ের উপাত্ত থেকে মাটিকে কর্ষণও করেছি সযত্নে।
অথচ আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করছি,
বীজ ফোটার আগেই আমার ভূমি ছেয়ে যাচ্ছে আগাছায়।
তবে কি বীজ ফোটবে না?
আমি উদ্বেগে অপেক্ষায় থাকি।

অবশেষে আমার সকল সংশয় দূর করে ওদের আত্মশক্তি ক্রমশঃ মাথা তোলে, মেলে পাখা।
ওদের বর্ধিষ্ণুতর শরীর আগাছাগুলোকে ছাড়িয়ে গেলে আমি মনযোগ দেই নিড়ুনিতে।
কিন্তু আগাছাগুলো এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত যে
আমার শ্রমকে পণ্ডশ্রমে ঠেলে দিতে ওদের মোটেও বেগ পেতে হয় না।
তাই নিড়ুনির ফাঁকে আমি ওদের বিনয়ের সাথে বলি –
ভায়া, পৃথিবীতে এত চারণভূমি থাকতে আমার ব্যক্তিগত কামরায় উঁকি দেয়া কেন?
ওরা হেসে লুটিপুটি, এ ওর গায়ে ঢলে পড়ে! বলে-
আমরা ছোটপ্রাণ, ওসব তত্ত্বকথা বুঝিনে, এভাবেই বাঁচি;
বেশী বললে আমাদের নগ্ন জনপদে তোমাকেও ন্যাংটা করে ছাড়বো।

আমি ভয়ে আর কথা বাড়াইনে। নিয়ত সংগ্রামরত থাকি। নিভৃতে। নিঃশব্দে।
তবে অবশ্যই বিষ প্রয়োগের বিরুদ্ধে।
কেননা মৃত্তিকায় ঠিকঠাক ঘুমপাড়ানো গেলে ওরা ম্যানগ্রোভের প্রেরণা।

একসময় অনুভব করি
আমার সব্জিগাছ সাবলীল হয়ে ওঠছে।
ওদের শিকড় ডানা মেলছে মৃত্তিকার গাঢ় এবং গভীর অন্ধকারে।
আর তার ছায়ায় ক্রমশঃ দুর্বল আগাছাগুলো সপ্রশংস বিস্ময়ে দেখছে আমার ফলবান সব্জিবাগান।

 

 

শিল্প

অজগরের হা-এর ভিতর মৃতপ্রায় নদীর পাশে একজন জন্মান্ধ ভিক্ষুক এইমাত্র এসে বসল তার প্রতিদিনকার গ্রামীণ পথের বাঁকে। তুলনামুলক পরিচ্ছন্ন পরিপাটিতে মুখে তার খাওয়া শেষের তৃপ্তির ঢেকুর। দানপাত্রটিও আজ ঘষে-মেজে বেশ ঝকঝকে, আত্মপরিচয়ে এলুমিনিয়াম; মুদ্রাপতনের শব্দ আজ শ্রুতি থেকে বুক-অব্দি বেশ ঢেউ খেলে যাবে! এক্ষণে তার ডেবে যাওয়া অংশগুলোগুলোকে টিপে টিপে ঠিকঠাক করে নিচেছ সে। হা হয়ে যাওয়া ভাঙ্গা কার্নিশটুকুও মিশিয়ে নিলো সযত্নে। পায়ের পাতায় অনুমেয় ঝরাপাতাগুলোকে সরালো যথাসম্ভব। মানানসই ভঙ্গিমায় রাখলো হাতের লাঠি। যেন আনমনে দেখিয়ে দিল শিল্পের প্রতি মানুষের সহজ অঙ্গিকার।


কিন্তু এসব উজ্জ্বলতাকে ছাপিয়ে রাগাশ্রিত সুরের আলাপ শেষে এবার সে গাইলো; তার ম্লান এবং ধুলিময় কণ্ঠ মৌলিক শিল্পের দিকে।

 

 

পাথরের যোজন ছিঁড়ে

নীল আকাশে মেঘের পলেস্তরা
যেমন ভাসে, ভাসছে।
টুকরো কাগজের মতো একঝাঁক পাখি
যেমন ওড়ে, উড়ছে।
ওদের কণ্ঠ থেকে পিয়ানোর রীডে
পরিণত আঙ্গুলে ছোঁয়ালে
যেমন লাবণ্য-শব্দ ঝরে, ঝরছে।
যেন পাথরের যোজন ছিঁড়ে
ওরা আজ নিজেরই জন্যে
পাগল হবার, হয়েছে।

 

 

হাওড়ের হিজল গাছটি

যতদূর চোখ যায়
হাওড়ের হা করা বাতাস কানে কানে
সীমাতিক্রান্ত শূন্যতাকেই ডেকে ফিরে যায়।
তার মাঝে একটি, শুধু একটি হিজল গাছ ভীষণ একলা,
বিপন্ন দাঁড়িয়ে আছে।
যেনোবা অন্তর্লীন বেদনার পলিতে বেড়ে ওঠা
একথোকা বিষণ্ণতা, একাকীত্বের বান্ধব!
তার ঝাঁকড়া পাতার উড়ো চুলে থমকে আছে
দীর্ঘ প্রান্তরের কান্না।
তাকে ঘিরে ছায়াপথের গন্ধমাখা নিঃশব্দ রোদ, একাকী ভাঙছে পাড়।
দূরে অলস চারণছবি, আবছা স্থির গ্রাম
সব, সব তারই একলার গানে মুখরিত।

অথচ তার শাখায় পাখি গাইছে স্বতঃস্ফূর্ত গান।
তার সুর রোদেলা ঢেউয়ে জলের চুমকি,
প্রাণের শিহরণে আকাশের রঙ।
যেন নিজেকেই অনুভব করে অস্তিত্বের অন্তহীন গভীরে!

তবুও প্রান্তরব্যাপী চৈত্রদগ্ধ বিশাল শূন্যতা অতিক্রান্ত নয়।

নিশুতির আসন্ন অন্ধকারে,
কোথায় পালাবে তার ভয়ার্ত হৃদয়, যখন পাখিগুলো গাইবে না গান?
মনে কি পড়বে তখনো
বাদুরের ডানার বিস্তৃত ছায়ার ফাঁকে তারাদের দয়ার্দ্র চোখ?
নাকি আত্মার খোলস ছেড়ে সেও নির্ভার ডুবে যাবে
আরো গভীর কোন শূন্যতায়?

থাকবে শুধু সুনসান বাতাস, বাতাসের প্রবহমান কান্না!

 

মন্তব্য, এখানে...

আবুল এহসান

কবি। জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৯৬১ সালে। প্রকাশিত বই: খড়

আরোও লেখা পড়ুন


আধাখেচরা নগরীর কুশনে

আবুল এহসান
জানুয়ারী, ১১, ২০২৩

অলংকরন: রাফি আহমেদ চঞ্চল

চাঁদের চুমু

চাঁদটা ছিল আমার দুহাত সামনে।
তার সমান্তরালে হাঁটবো বলে দ্রুতি বাড়িয়েছি যতো
ততই দূরে সরে গেছে সে।
আহা চাঁদ, সোনালী অধরা আমার, ক্লান্তিই ছিল তোমার শেষ উপহার!
একদার কিশোর এভাবেই জেনেছিল,
উল্টোযাত্রায় নিজের পথে কিভাবে কাঁধে ছোঁয়াতে হয় চাঁদের চুমু।
মায়ের মমতাঘেরা চোখ কতটা একান্ধ হলে
সৃষ্টি পৌঁছে গন্তেব্যে,
ওকথা ভুলিনি আমি!
আমার বাউলিপনায় তিক্ত বাবা যখন রাতের ছিটকিনি তুলে
ঘরকে করতেন বাহির,
মা তখনো খুঁজে পাওয়া চাবির ঘোছার মতো
গলি থেকে আমাকে কুড়িয়ে বেঁধেছেন সযত্ন আঁচলে,
ওাতের গভীরতাকে বুকে টেনে
সঙ্গোপনে তাড়িয়েছেন আমার দুবির্নীত উপোস;
যেন কতদিন খাওয়া হয়নি তার!

প্রগাঢ় সবুজে উজ্জ্বল বাউলের মতো আমার সুগন্ধি মা যেন
নাড়ীর টানেই বুঝতেন,
এঁদো ডোবা আর ঝোপ-জংলার ভিতর ঝিঁঝির ডাকই সত্য ভাষণ।
আমি ভুলিনি ওসব কথা।
সকল গ্লানিকে উপেক্ষায় ঠেলে আজো তাই ব্যাঙ ডাকা ঘোরেলা সন্ধ্যায়
এ মাটির উর্বরা গভীরে পাতি কান,
আধাখেচরা নগরীর কুশনে নিবিড় আস্থায় রুয়ে যাই
সূঁচালো ডগার জ্বালা;
যেন বসলেই মনে পড়ে যায় অনুপম সবুজে ঢাকা তোমার নিঝুম মা-এর মুখ!

 

 

আমার সব্জিবাগান

ভাল ফলনের পূর্বশর্ত মানসম্মত বীজ।
একটি সব্জিবাগানের জন্যে আমি তা করেছি।
সময়ের উপাত্ত থেকে মাটিকে কর্ষণও করেছি সযত্নে।
অথচ আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করছি,
বীজ ফোটার আগেই আমার ভূমি ছেয়ে যাচ্ছে আগাছায়।
তবে কি বীজ ফোটবে না?
আমি উদ্বেগে অপেক্ষায় থাকি।

অবশেষে আমার সকল সংশয় দূর করে ওদের আত্মশক্তি ক্রমশঃ মাথা তোলে, মেলে পাখা।
ওদের বর্ধিষ্ণুতর শরীর আগাছাগুলোকে ছাড়িয়ে গেলে আমি মনযোগ দেই নিড়ুনিতে।
কিন্তু আগাছাগুলো এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত যে
আমার শ্রমকে পণ্ডশ্রমে ঠেলে দিতে ওদের মোটেও বেগ পেতে হয় না।
তাই নিড়ুনির ফাঁকে আমি ওদের বিনয়ের সাথে বলি –
ভায়া, পৃথিবীতে এত চারণভূমি থাকতে আমার ব্যক্তিগত কামরায় উঁকি দেয়া কেন?
ওরা হেসে লুটিপুটি, এ ওর গায়ে ঢলে পড়ে! বলে-
আমরা ছোটপ্রাণ, ওসব তত্ত্বকথা বুঝিনে, এভাবেই বাঁচি;
বেশী বললে আমাদের নগ্ন জনপদে তোমাকেও ন্যাংটা করে ছাড়বো।

আমি ভয়ে আর কথা বাড়াইনে। নিয়ত সংগ্রামরত থাকি। নিভৃতে। নিঃশব্দে।
তবে অবশ্যই বিষ প্রয়োগের বিরুদ্ধে।
কেননা মৃত্তিকায় ঠিকঠাক ঘুমপাড়ানো গেলে ওরা ম্যানগ্রোভের প্রেরণা।

একসময় অনুভব করি
আমার সব্জিগাছ সাবলীল হয়ে ওঠছে।
ওদের শিকড় ডানা মেলছে মৃত্তিকার গাঢ় এবং গভীর অন্ধকারে।
আর তার ছায়ায় ক্রমশঃ দুর্বল আগাছাগুলো সপ্রশংস বিস্ময়ে দেখছে আমার ফলবান সব্জিবাগান।

 

 

শিল্প

অজগরের হা-এর ভিতর মৃতপ্রায় নদীর পাশে একজন জন্মান্ধ ভিক্ষুক এইমাত্র এসে বসল তার প্রতিদিনকার গ্রামীণ পথের বাঁকে। তুলনামুলক পরিচ্ছন্ন পরিপাটিতে মুখে তার খাওয়া শেষের তৃপ্তির ঢেকুর। দানপাত্রটিও আজ ঘষে-মেজে বেশ ঝকঝকে, আত্মপরিচয়ে এলুমিনিয়াম; মুদ্রাপতনের শব্দ আজ শ্রুতি থেকে বুক-অব্দি বেশ ঢেউ খেলে যাবে! এক্ষণে তার ডেবে যাওয়া অংশগুলোগুলোকে টিপে টিপে ঠিকঠাক করে নিচেছ সে। হা হয়ে যাওয়া ভাঙ্গা কার্নিশটুকুও মিশিয়ে নিলো সযত্নে। পায়ের পাতায় অনুমেয় ঝরাপাতাগুলোকে সরালো যথাসম্ভব। মানানসই ভঙ্গিমায় রাখলো হাতের লাঠি। যেন আনমনে দেখিয়ে দিল শিল্পের প্রতি মানুষের সহজ অঙ্গিকার।


কিন্তু এসব উজ্জ্বলতাকে ছাপিয়ে রাগাশ্রিত সুরের আলাপ শেষে এবার সে গাইলো; তার ম্লান এবং ধুলিময় কণ্ঠ মৌলিক শিল্পের দিকে।

 

 

পাথরের যোজন ছিঁড়ে

নীল আকাশে মেঘের পলেস্তরা
যেমন ভাসে, ভাসছে।
টুকরো কাগজের মতো একঝাঁক পাখি
যেমন ওড়ে, উড়ছে।
ওদের কণ্ঠ থেকে পিয়ানোর রীডে
পরিণত আঙ্গুলে ছোঁয়ালে
যেমন লাবণ্য-শব্দ ঝরে, ঝরছে।
যেন পাথরের যোজন ছিঁড়ে
ওরা আজ নিজেরই জন্যে
পাগল হবার, হয়েছে।

 

 

হাওড়ের হিজল গাছটি

যতদূর চোখ যায়
হাওড়ের হা করা বাতাস কানে কানে
সীমাতিক্রান্ত শূন্যতাকেই ডেকে ফিরে যায়।
তার মাঝে একটি, শুধু একটি হিজল গাছ ভীষণ একলা,
বিপন্ন দাঁড়িয়ে আছে।
যেনোবা অন্তর্লীন বেদনার পলিতে বেড়ে ওঠা
একথোকা বিষণ্ণতা, একাকীত্বের বান্ধব!
তার ঝাঁকড়া পাতার উড়ো চুলে থমকে আছে
দীর্ঘ প্রান্তরের কান্না।
তাকে ঘিরে ছায়াপথের গন্ধমাখা নিঃশব্দ রোদ, একাকী ভাঙছে পাড়।
দূরে অলস চারণছবি, আবছা স্থির গ্রাম
সব, সব তারই একলার গানে মুখরিত।

অথচ তার শাখায় পাখি গাইছে স্বতঃস্ফূর্ত গান।
তার সুর রোদেলা ঢেউয়ে জলের চুমকি,
প্রাণের শিহরণে আকাশের রঙ।
যেন নিজেকেই অনুভব করে অস্তিত্বের অন্তহীন গভীরে!

তবুও প্রান্তরব্যাপী চৈত্রদগ্ধ বিশাল শূন্যতা অতিক্রান্ত নয়।

নিশুতির আসন্ন অন্ধকারে,
কোথায় পালাবে তার ভয়ার্ত হৃদয়, যখন পাখিগুলো গাইবে না গান?
মনে কি পড়বে তখনো
বাদুরের ডানার বিস্তৃত ছায়ার ফাঁকে তারাদের দয়ার্দ্র চোখ?
নাকি আত্মার খোলস ছেড়ে সেও নির্ভার ডুবে যাবে
আরো গভীর কোন শূন্যতায়?

থাকবে শুধু সুনসান বাতাস, বাতাসের প্রবহমান কান্না!

 

মন্তব্য, এখানে...

আবুল এহসান

কবি। জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৯৬১ সালে। প্রকাশিত বই: খড়

আরোও লেখা পড়ুন

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বাবুই পাখির রাফখাতা ...: বদরুজ্জামান আলমগীর

বদরুজ্জামান আলমগীর এপ্রিল, ১৪, ২০২২

বাবুই পাখির রাফখাতাপথ সবসময় মাটিতে শুয়ে থাকে নামাঝেমধ্যে পথ উঠে যায় আকাশের দিকেআকাশের দিকে উঠে গেলে পথকে আমরা আর পথ বলি না,নাম দিই গম্ভীর অয়োময় অট্টালিকা প্রাসাদনিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ওয়া

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : কোভিডের পর বৈশাখ ...: কাজল শাহনেওয়াজ

কাজল শাহনেওয়াজ এপ্রিল, ১৪, ২০২২

কোভিডের পর বৈশাখদীর্ঘ অবিস্মরণীয় সময় কাটিয়ে অপেক্ষা থেকে মুক্তি পেলাম।বিগত দুই বছর যথাসম্ভব নিবৃত করে রেখেছিলাম অনেক রকম বাসনা থেকে। সপ্তাহর পর সপ্তাহ একা একা দিনগুলি ঘুম পাড়িয়ে ছোট ছোট �

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : নক্ষত্র নীলের গান ...: সুস্মিতা চক্রবর্তী

সুস্মিতা চক্রবর্তী এপ্রিল, ১৪, ২০২২

নক্ষত্র নীলের গানআবার বৃষ্টি গর্জনে মহাকালবৃত্ত ভাঙার অবারিত ধারাপাতআমিও শিখছি শিখছো তুমিও বেশচারিদিকে দেখো চিহ্নের সমাহারএ ঘোর সময় দুর্যোগ মারীকালপুড়ছে মানুষ মানুষের সংসারশ্রাবণ ধার

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বৈশাখ যেমন... ...: পাতা কুড়ানি

পাতা কুড়ানি এপ্রিল, ১৪, ২০২২

বৈশাখ যেমন..চৈত্রের কঠিন সর্বনাশ স্তিমিত করে বৈশাখ আসেশিলাবৃষ্টিটিষ্টি নিয়ে অনেক বেশি প্রাকৃতিকহয়ে উঠি; আমের মুকুল ঘিরে তুঙ্গে ওঠে ব্যস্ততাসমগ্র চিন্তা ও মননকে নিজের দিকে টেনে নেয়বালি চি

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বিদায়ী চুমুর প্রতিভাত ...: মাহফুজ সজল

মাহফুজ সজল এপ্রিল, ১৪, ২০২২

মঙ্গল মহতিমনের মর্জি ধরেবন এসে চোখে জুড়ে আসন্ন রঙের মুকুলবদলি হাওয়ায় আসে গ্রহণ এক ধান-দুর্বাকুল;রঙ লাগলেই রাঙা তুমি নতুন নিহিত চুমিজেনে যাবে দিন থেকে পরবর্তী দিনের উসুল-সময়-তো বিদায়ী চুমু’

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : একটি টিপের জন্যে ...: আবুল এহসান

আবুল এহসান এপ্রিল, ১৪, ২০২২

একটি টিপের জন্যেবিশ্ব থেকে বহুবিশ্ব অসীমেরে দিয়েছি ঠাঁইএ হৃদয় তবু ফাঁকা পড়ে থাকে।কল্পনার যা কিছু আছে বাকিদুঃখ যদি দাও তারও বেশি এঁটে যাবে সবই।নক্ষত্রেরা জাগে ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরেও যায়,সাগরের �

logo

বিষয়সমূহ >
কবিতা গল্পসরগম উপন্যাস অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক গদ্যধারা সাক্ষাৎকার রিভিউ এক্সিবিশন নাটক চলচ্চিত্র ধারাবাহিক বিশেষ-সংখ্যা বই নাটক দল

সাম্প্রতিক পোস্ট >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

সর্বাধিক পঠিত >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

সর্বাধিক পঠিত >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

সাম্প্রতিক পোস্ট >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

বিষয়সমূহ >

কবিতা গল্পসরগম উপন্যাস অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক গদ্যধারা সাক্ষাৎকার রিভিউ এক্সিবিশন নাটক চলচ্চিত্র ধারাবাহিক বিশেষ-সংখ্যা বই নাটক দল

logo

  • স্বত্ব© দেশলাই ২০২৩
  • কারিগরি সহযোগিতায় হুমায়ুন কবির
  • লেখা পাঠাতে
  • বিজ্ঞাপন
  • ডোনেশন
  • ইবুক
  • যোগাযোগ
  • স্বত্ব© দেশলাই ২০২৩
  • কারিগরি সহযোগিতায় হুমায়ুন কবির
  • লেখা পাঠাতে
  • বিজ্ঞাপন
  • ডোনেশন
  • ইবুক
  • যোগাযোগ