মোহাম্মদপুর
আমার
জন্য মোহাম্মদপুর আনবেন
মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে বৈশাখের আলপনা
এফ টি সি এল বাসের ভীড়
বিআরটিসি’র দশ টাকার টিকিট
শাহবাগ মোড়ের সবকটা ফুল দোকান
টাউনহলের কাঁচাবাজার
নয় এর এ থেকে মিনাবাজারের গলি
আলমাসের গলি রবীন্দ্র সরোবর
জেনেভা ক্যাম্প থেকে বোবার বিরিয়ানি
কাঁটাবন মোড় ফকিরাপুলের রাত
বকুল বিছিয়ে রাখা পরিবাগ
সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের মহড়া কক্ষ
হাকিম চত্বর থেকে পাঁচ কাপ লাল চা
প্রথম
মঞ্চায়ন হবে এরকম নাটকের
একটা পোস্টার আনতেন যদি
আমার ছেলেটা নিকুঞ্জ’র ১৯ নম্বরে
ওকে বললেই পাতা ফুরানো খাতা
আর একটা ময়লা টি-শার্ট দেবে
নতুন শপিং ব্যাগের মুখ আটকে
বসিলা ব্রিজের নিচে অনির্ণীত কোমায়
শুয়ে আছে কালো বুড়িগঙ্গা
তাকে বলবেন আমি এখন ভালো থাকি না
দেরাজ
ওটা
আমার সবশেষ নিঃশ্বাস ছিলো
বেচে দিয়ে সাঁতার কিনে ফিরছি
এবারে বেচে দেবো দুই পা
তারপর চিঠির দেরাজ
মার্গারিটের ছবি
কাশির সিরাপ
সীমান্তপথের
মতো তোমাকে পার হয়ে
নতুন দেশ কুড়িয়ে নেবো চোখে
নতুন পরিচয় হবে রিফিউজি
শ্রীযুক্ত কোনও ক্ষুদ্র নাম
সুনয়নী নয়তো পেঁচি
নুড়ি ঝিলম জল
অথবা খেদি
যেহেতু
খিদে পাওয়ার ব্যামো আছে
রেশমের মতো পেটের ভেতরে
থিকথিক করা সুগন্ধি ঘা
কয়লার মতো গনগনে
কিযে উত্তাপ উত্তাপ
পুড়ে যাই তবু
পোড়ে না।
রাজহংসী
মেঘ
রাতের
অধিক রাত পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে
আপনি কার কোঠায় যেতে চান নাম বলুন
অন্ধকার ঠিকঠাক পৌঁছে দেবে
রাজহংসী
মেঘে বৃষ্টি এলে মা দুর্গার জয় হয়
তোমার মায়ের অঞ্জলির হাত আগুনে পোড়া
আঁচলে হাজার হাজার সূঁচ ফোটানোর দাগ
তবু দেমাগি হাসির ঝালর উড়িয়ে
ভিখারিকে বলেন এবেলা হবে না কাল এসো
অভুক্ত থাকার কথা বলতে পারি
পরিচিত পাহাড়ে তেমন অন্ধকার নামে না
অথচ অন্ধকারের সমষ্টিকে রাত জানে সবাই
আপনি
কার কাছে যেতে চান পাহাড়কে বলুন
আশ্বিনে আমার কোঠায় রাত দিন দুই সমান।
সুগন্ধি
ঠোঁট
শীত
এক বিষণ্ণ পাথার
যেমন রাত কিছু কুকুরের চিৎকারের সমষ্টি
আর পাহাড় এক অসহ্য ব্যথার ভেতর
ঘুমে মরে যাওয়া পাংশুটে মুখ
যে মুখ থেকে তেরোতম জিভটি হারিয়েছে
আমার
হারিয়েছে একজোড়া সুগন্ধি ঠোঁট
আমি সেই ঠোঁট খুঁজতে এখানে এসেছি
আলোগুলো জ্বালিয়ে দিন
আমার
চোখ কখনো আয়ু বিক্রি করেনি
অপ্রেমিকের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
আমি হাঁটতে হাঁটতে
খুঁজতে খুঁজতে কিছুটা ক্লান্ত হয়েছিলাম
ভোর হবার আগেই চলে যাবো
যেখানে শীত এক বিষণ্ণ পাথার
রাত
প্রেমিকের অভিশাপের যোগফল।
পাহাড়
জন্ম
আঙুলের
নিচ থেকে
একটা একটা করে পাহাড় গজিয়ে উঠছে
প্রসূতি ঘ্রাণে ডুবে যাওয়া ঠোঁট তুলে
জিজ্ঞেস করুন ওদের জনকের নাম
জন্মের সময় কয়টি আঙুল নিয়ে জন্মেছি
জিজ্ঞেস করুন রুটি মদে চুবিয়ে খাই
নাকি মানুষ কেটে তার রক্তে
জিজ্ঞেস
করুন পাহাড় বড় হলে
কোথায় লুকিয়ে রাখবো
সন্তোষজনক জবাব না পেলে গুলি করুন
আমাকে এবং সবকটা পাহাড়কে
আঙুল
নিয়ে জন্মানোর শাপ কাটিয়ে
যদি পুনর্জীবন পাই
পাহাড় জন্ম না দিয়ে
পাহাড়ের ভেতর থেকে পাহাড় হয়ে জন্ম নেবো