মে, ১৯, ২০২৫
দেশলাই
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্পসরগম
    • উপন্যাস
    • অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক
  • গদ্যধারা
  • উড়ন্তডুবুরী
    • সাক্ষাৎকার
    • রিভিউ
  • এক্সিবিশন
  • শিল্প
    • নাটক
    • চলচ্চিত্র
  • ধারাবাহিক
  • বিশেষ সংখ্যা
  • ডিরেক্টরি
    • মেলা
    • নাটক দল
    • বাউল দল
    • সাংস্কৃতিক সংগঠন
    • পাঠাগার
    • থিয়েটার
    • স্মরণ
    • প্রত্নতত্ত্ব
    • সাহিত্য পুরস্কার
    • প্রকাশনা সংস্থা
  • কেনাকাটা
    • বই : গদ্য
    • বই : গল্প
    • বই : কবিতা
    • বই : উপন্যাস
    • বই : দেড়ফর্মা
    • বই : নাটক ও চলচ্চিত্র
    • বই : ছড়া
    • লিটলম্যাগ
দেশলাই
দেশলাই
  • কবিতা
  • কথাসাহিত্য
    • গল্পসরগম
    • উপন্যাস
    • অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক
  • গদ্যধারা
  • উড়ন্তডুবুরী
    • সাক্ষাৎকার
    • রিভিউ
  • এক্সিবিশন
  • শিল্প
    • নাটক
    • চলচ্চিত্র
  • ধারাবাহিক
  • বিশেষ সংখ্যা
  • ডিরেক্টরি
    • মেলা
    • নাটক দল
    • বাউল দল
    • সাংস্কৃতিক সংগঠন
    • পাঠাগার
    • থিয়েটার
    • স্মরণ
    • প্রত্নতত্ত্ব
    • সাহিত্য পুরস্কার
    • প্রকাশনা সংস্থা
  • কেনাকাটা
    • বই : গদ্য
    • বই : গল্প
    • বই : কবিতা
    • বই : উপন্যাস
    • বই : দেড়ফর্মা
    • বই : নাটক ও চলচ্চিত্র
    • বই : ছড়া
    • লিটলম্যাগ
টাইপ করা শুরু করুন এবং বন্ধ করতে "এন্টার" বা "ESC" টিপুন
  1. আপনি দেখছেন: হোম >> বৈশাখের কবিতা : চৈত্র বলে মেঘে যাবাে ...

বৈশাখের কবিতা : চৈত্র বলে মেঘে যাবাে

অপু শহীদ

এপ্রিল, ১৪, ২০২২
অলংকরন: সুমন দীপ

চৈত্র বলে মেঘে যাবাে

বহুদিন পর আবার ইচ্ছে করছে।
লিখি কিছু উজ্জ্বল অক্ষর
বহুদিন থেমে ছিলাম অসমাপ্ত বাক্যে।
বহুদিন ভাবিনি সমুদ্রের ফেনায় জ্যামিতিক সংসার
বহুদিন পর শােকগ্রস্থ জননীর মুখে কথা ।

যখন কেবল শূন্যতায় ধাবমান ষাড়
যখন অনেক রাত কেড়ে নিলাে নিষ্ঠুর শীত
যখন প্রজ্ঞার পাথরে চাপা পড়ে যায় প্রেম
যখন বিপুল যৌবনে বসে থাকে বৃদ্ধ কনফুসিয়াস
যখন একটি কিশাের মনসার ক্রোধে আক্রান্ত ছিলাে
তখন কে তার হাতে তুলে দেয় স্বপ্নের আঙ্গিক।
লবন নিজেই নষ্ট করে তার ধাতব স্থান।

তখন
তুমিও ছিলে ইচ্ছার সম্রাজ্ঞী
খােলসের ভেতর ঢুকে গেছাে কুসুম
নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছাে প্রথম গর্ভের ফুল ।
রােদুরে তখন ভীষণ অনিহা তােমার
পিতৃভক্তির দোহাই দিয়ে তখন তুমি
খুজছাে নিরাপদ ইষ্টিশনের সুশােভন রেলগাড়ি।

তারপর অনেক মেঘ জমে জমে
প্লাবনে ভেসে গেলাে স্থির চোখ
জ্যোৎস্নার ভূতে কালীদহে ডুবতে ডুবতে
হঠাৎ শুনলাম বেহুলার ডাক
কাধে হাত রেখে সুমন্ত হাওয়ায়
বাংলার যুবক শেষ চৈত্রে ঘুমায়।

তারপর আবার ফিরে আসি চেনা গলিতে
বিয়ারের মাত্রা কমে
কমে সন্ধ্যার পানীয়
তবু দেখি কালাে মহিষের বাঁকা শিং
আমার রাস্তায় কেবল পরে থাকে মরা পাখি।
স্বেচ্ছায় এসেছিলাে
স্বেচ্ছায় চলে গেছে বেহুলা।
ততদিনে বুঝেছে কিশাের
মনসা বেহুলার মাসী হয়।

তারপর অকস্মাৎ ঠাণ্ডায় কালােকফি
তােমার অপ্রস্তুত চিঠি
কি অসাধারণ কবিতা লিখেছাে তুমি
পড়ি
বারবার পড়ি
শূন্যে হাত তালি দিই
ঘুম ভেঙ্গে যায় কালাে বিড়ালের
ঘর ছেড়ে উঠানে আসি
উঠানের কৃষ্ণচূড়ায় দুলছে তােমার লাল রুমাল ।

এতদিন
এতদিন পরে আবার একুশ বছর বয়স।
তােমার চিঠির প্রতিটা শব্দ যেন
আস্তিকের পবিত্র কোরআনের কালাে অক্ষর।
বানান করে পড়ি
যেনবা অনুসন্ধান করি
ইমাম গাজ্জালীর গুঢ় অর্থ।
এ যেন বীজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিশাল বৃক্ষ।

কী অপরাধে?
এতদিন থেমে ছিলে!
কি করে থেমে থাকে থৈ থৈ যমুনা।
ফুলের নামে নাম তােমার
ফুলের ভেতর আরাে গভীর ফুল
চাঁদের মধ্যে চাঁদ হয়ে থাকো
সােনালি যৌবনের সুহৃদ।
তােমাকে ছাড়া বাঁচেনি কখনাে কেউ
তুমি ভিন্ন অন্য কোনাে অভিধান নেই
তােমাকে ছাড়া কি করে পাব
স্বপ্নের সােনালি অক্ষর।

তােমার নীল চিঠি
যদি আরও আগে লেখা হতাে
যদি আরও আগে
পেখম খুলে দিত নীল ময়ূরী
তবে বেঁচে যায় আমার বন্ধু আনিস
বিষ পান থেকে।
যদি ডেকে উঠত কোনাে বেগানা কণ্ঠ
তবে জ্যোৎস্নার হাত থেকে বেঁচে যায়
কিশােরী রুনা।
ট্রেন তারে কেটে চলে গেছে মাঝরাতে
কবরে কেউ লেখেনি ফলক।

অনেক দিন পর টেবিলে বসেছি
বৃষ্টির অবসরে
আমার সমস্ত বাগান চলে গেছে
তােমার দখলে
বিনা বৈশাখিতে উড়ে যায় সমস্ত
চেতনার ফুল
যুদ্ধ জাহাজে ছুটে চলেছি বৃষ্টির
প্রবল ধারায়।

সত্যের মুখােমুখি এখন
মুখােমুখি বসেছি প্রশ্নের
প্রশ্নের ভাষা ল্যাটিন
প্রশ্নের ভাষা গ্রীক
যদি প্রশ্নের ভাষা হয় ভাষাহীন
যদিবা মুখােমুখি দুজন মানুষ
যদিবা একে চলে যেতে চায়
অপরের দখলে
তবে এবারের বর্ষণের শেষে
শস্যে ভরে যাবে আমাদের জনপদ।

স্থির মানুষ
স্থির বিশ্বাস
স্থির শূন্যতা
না
কারাে দখলে যাবে না আমাদের প্রতিভা।
আমরা বরাবর ব্যতিক্রম ভাগ করে খাবাে
খাবাে স্বাভাবিকতার সবকটা ফল।

একবার যেন এরকম বলেছিলে
কি চাও?

বোঝনা
বােঝনা কি চাই?
তােমাকে চাই
তােমার ভেতরে যেতে চাই
তােমার অস্তিত্বে যেতে চাই
তােমার শরীরে যেতে চাই
তােমার ভেতর আমাকে
আমার ভেতর তােমাকে পেতে চাই
মেঘের ভেতরে চাই রংধনু হতে।

জীবনের ভেতর মৃত্যুকে চাই
চাই মৃত্যুর ভেতর জীবন
কুমারীর ভেতর বধূয়াকে চাই
চাই বধূর ভেতরের কুমারী।

শরীরের ভেতরে মাংস চাই চাই
মাংসের ভেতরের ঘ্রাণ।
ভালােবাসায় অভিমান চাই
ঘৃণার মধ্যে চাই ভালােবাসা
প্রতিদিন পরাজিত হতে চাই
চাই অন্ধকারে নির্দোষ আক্রমন।
অন্ধকারে ভূত হতে চাই
চাই দীর্ঘ চুলের ছায়া
শরীরের সুশােভন ঘ্রাণে
জলমগ্ন মাছ হতে চাই।
চাই সাধ্য মতাে ভেতরের সঙ্গীত
চাই করতলে সবটুকু জ্যোৎস্না ।

চাই নির্মাণ
চাই চোখের আয়না।
চাই সংসারে মেধা
চাই সন্ন্যাসী
চাই সংসারহীনতা
চাই মেধাহীন ঝগড়া
চাই পরাজিত দ্বীপে শস্যের সম্ভার ।
চাই বেদনার ঘন নীল
চাই সরিষার ভরা ক্ষেত
চাই আরােহণ
চাই পতন।

ভালােবেসে পেতে চাই বর্তমানে
ভালােবেসে যেতে চাই সম্ভাবনায়
ভালােবেসে দিতে চাই স্বাস্থ্য
মাংস লােভী কুকুরের পাশে হতে চাই
নিরামিষ ভােজী সন্ন্যাসী।
চাই জন্মের অধিকার
চাই হত্যার অধিকার
কৃষ্ণের হয়ে রাধাকে পেতে চাই সবটুকু।
চাই অদ্ভুত খেয়াল
চাই পিতার শাসন
চাই অন্ধকারে আলাে
আলােতে চাই অন্ধকার।
যিশু হতে চাই
পশু হতে চাই
নানান কৌশলে।

তােমার মুখ দেখে দেখে
বরফের নিচে জমে যেতে চাই
বেহুলার হাত থেকে বেঁচে।
পারবে না?
পারবে
মানুষকেই জয়ী হতে হয়।
বিপরীত স্রোতে কত কেটেছি সাঁতার
নােনা জলে ভেসেছে বুকের শপথ
সেই কবে রেখেছিলে এক জোড়া পা
এখনাে ছাপ তার জামার ভিতর ।

ভয় নেই
যতটুকু চাওয়া আমার
তার সবটুকুই পারাে তুমি
যতটুকুই পারাে তুমি
ততটুকুই চাওয়া আমার।
জানােতাে আমার ঈশ্বর নেই
তুমি ঈশ্বর হতে পার
জানােতাে আমার বিশ্বাস নেই
তুমি বিশ্বাস হতে পারাে

জোকাষ্টা আমার
জননী
কেবল তােমার সম্মুখে
হাঁটু গেড়ে বসে যেতে পারি
শিশুর মুখােমুখি ।

একবার এরকম মনে হয়
ভয় হয়
যেনবা যার সাথে সংসার হয়
তার সাথে ভালােবাসা হয় না
আর ভালােবাসা হয় যার সাথে
তার সাথে হয় না সংসার।
এই রকম ভাবতে ভাবতে
পার হলাে কৈশাের যৌবন
তবু আমার শরীর থেকে কোনােদিন
খুলে না কষ্টের জামা।

মনে হয় এরকমও একবার উচ্চারণ করেছিলে
কষ্ট যেন না ছোঁয় আমারে।
আমরা যেন হই জনম সুখী।
তুমি কি জাননা?
মানুষ সুখী হতে পারে
শিল্পীর সুখ বলে কিছু নেই।
আমরাতাে উপনিষদের সেই দুই পাখি
একজন খায় আরেকজন দেখে!

জননী
প্রিয়তমা
তােমাকে লিখবার
বিপুল আগ্রহ
রাত্রির শেষে।

মন্তব্য, এখানে...

অপু শহীদ

নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক ও কথাসাহিত্যিক। জন্ম ও বর্তমান বসবাস ঢাকায়। প্রকাশিত বই: সার্বজনীন নীরবতা চুক্তি (অনুপ্রাণন প্রকাশন, ২০১৭), চৈত্র বলে মেঘে যাবো, ঈশ্বর পাঠ।

আরোও লেখা পড়ুন


বৈশাখের কবিতা : চৈত্র বলে মেঘে যাবাে

অপু শহীদ
এপ্রিল, ১৪, ২০২২

অলংকরন: সুমন দীপ

চৈত্র বলে মেঘে যাবাে

বহুদিন পর আবার ইচ্ছে করছে।
লিখি কিছু উজ্জ্বল অক্ষর
বহুদিন থেমে ছিলাম অসমাপ্ত বাক্যে।
বহুদিন ভাবিনি সমুদ্রের ফেনায় জ্যামিতিক সংসার
বহুদিন পর শােকগ্রস্থ জননীর মুখে কথা ।

যখন কেবল শূন্যতায় ধাবমান ষাড়
যখন অনেক রাত কেড়ে নিলাে নিষ্ঠুর শীত
যখন প্রজ্ঞার পাথরে চাপা পড়ে যায় প্রেম
যখন বিপুল যৌবনে বসে থাকে বৃদ্ধ কনফুসিয়াস
যখন একটি কিশাের মনসার ক্রোধে আক্রান্ত ছিলাে
তখন কে তার হাতে তুলে দেয় স্বপ্নের আঙ্গিক।
লবন নিজেই নষ্ট করে তার ধাতব স্থান।

তখন
তুমিও ছিলে ইচ্ছার সম্রাজ্ঞী
খােলসের ভেতর ঢুকে গেছাে কুসুম
নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছাে প্রথম গর্ভের ফুল ।
রােদুরে তখন ভীষণ অনিহা তােমার
পিতৃভক্তির দোহাই দিয়ে তখন তুমি
খুজছাে নিরাপদ ইষ্টিশনের সুশােভন রেলগাড়ি।

তারপর অনেক মেঘ জমে জমে
প্লাবনে ভেসে গেলাে স্থির চোখ
জ্যোৎস্নার ভূতে কালীদহে ডুবতে ডুবতে
হঠাৎ শুনলাম বেহুলার ডাক
কাধে হাত রেখে সুমন্ত হাওয়ায়
বাংলার যুবক শেষ চৈত্রে ঘুমায়।

তারপর আবার ফিরে আসি চেনা গলিতে
বিয়ারের মাত্রা কমে
কমে সন্ধ্যার পানীয়
তবু দেখি কালাে মহিষের বাঁকা শিং
আমার রাস্তায় কেবল পরে থাকে মরা পাখি।
স্বেচ্ছায় এসেছিলাে
স্বেচ্ছায় চলে গেছে বেহুলা।
ততদিনে বুঝেছে কিশাের
মনসা বেহুলার মাসী হয়।

তারপর অকস্মাৎ ঠাণ্ডায় কালােকফি
তােমার অপ্রস্তুত চিঠি
কি অসাধারণ কবিতা লিখেছাে তুমি
পড়ি
বারবার পড়ি
শূন্যে হাত তালি দিই
ঘুম ভেঙ্গে যায় কালাে বিড়ালের
ঘর ছেড়ে উঠানে আসি
উঠানের কৃষ্ণচূড়ায় দুলছে তােমার লাল রুমাল ।

এতদিন
এতদিন পরে আবার একুশ বছর বয়স।
তােমার চিঠির প্রতিটা শব্দ যেন
আস্তিকের পবিত্র কোরআনের কালাে অক্ষর।
বানান করে পড়ি
যেনবা অনুসন্ধান করি
ইমাম গাজ্জালীর গুঢ় অর্থ।
এ যেন বীজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিশাল বৃক্ষ।

কী অপরাধে?
এতদিন থেমে ছিলে!
কি করে থেমে থাকে থৈ থৈ যমুনা।
ফুলের নামে নাম তােমার
ফুলের ভেতর আরাে গভীর ফুল
চাঁদের মধ্যে চাঁদ হয়ে থাকো
সােনালি যৌবনের সুহৃদ।
তােমাকে ছাড়া বাঁচেনি কখনাে কেউ
তুমি ভিন্ন অন্য কোনাে অভিধান নেই
তােমাকে ছাড়া কি করে পাব
স্বপ্নের সােনালি অক্ষর।

তােমার নীল চিঠি
যদি আরও আগে লেখা হতাে
যদি আরও আগে
পেখম খুলে দিত নীল ময়ূরী
তবে বেঁচে যায় আমার বন্ধু আনিস
বিষ পান থেকে।
যদি ডেকে উঠত কোনাে বেগানা কণ্ঠ
তবে জ্যোৎস্নার হাত থেকে বেঁচে যায়
কিশােরী রুনা।
ট্রেন তারে কেটে চলে গেছে মাঝরাতে
কবরে কেউ লেখেনি ফলক।

অনেক দিন পর টেবিলে বসেছি
বৃষ্টির অবসরে
আমার সমস্ত বাগান চলে গেছে
তােমার দখলে
বিনা বৈশাখিতে উড়ে যায় সমস্ত
চেতনার ফুল
যুদ্ধ জাহাজে ছুটে চলেছি বৃষ্টির
প্রবল ধারায়।

সত্যের মুখােমুখি এখন
মুখােমুখি বসেছি প্রশ্নের
প্রশ্নের ভাষা ল্যাটিন
প্রশ্নের ভাষা গ্রীক
যদি প্রশ্নের ভাষা হয় ভাষাহীন
যদিবা মুখােমুখি দুজন মানুষ
যদিবা একে চলে যেতে চায়
অপরের দখলে
তবে এবারের বর্ষণের শেষে
শস্যে ভরে যাবে আমাদের জনপদ।

স্থির মানুষ
স্থির বিশ্বাস
স্থির শূন্যতা
না
কারাে দখলে যাবে না আমাদের প্রতিভা।
আমরা বরাবর ব্যতিক্রম ভাগ করে খাবাে
খাবাে স্বাভাবিকতার সবকটা ফল।

একবার যেন এরকম বলেছিলে
কি চাও?

বোঝনা
বােঝনা কি চাই?
তােমাকে চাই
তােমার ভেতরে যেতে চাই
তােমার অস্তিত্বে যেতে চাই
তােমার শরীরে যেতে চাই
তােমার ভেতর আমাকে
আমার ভেতর তােমাকে পেতে চাই
মেঘের ভেতরে চাই রংধনু হতে।

জীবনের ভেতর মৃত্যুকে চাই
চাই মৃত্যুর ভেতর জীবন
কুমারীর ভেতর বধূয়াকে চাই
চাই বধূর ভেতরের কুমারী।

শরীরের ভেতরে মাংস চাই চাই
মাংসের ভেতরের ঘ্রাণ।
ভালােবাসায় অভিমান চাই
ঘৃণার মধ্যে চাই ভালােবাসা
প্রতিদিন পরাজিত হতে চাই
চাই অন্ধকারে নির্দোষ আক্রমন।
অন্ধকারে ভূত হতে চাই
চাই দীর্ঘ চুলের ছায়া
শরীরের সুশােভন ঘ্রাণে
জলমগ্ন মাছ হতে চাই।
চাই সাধ্য মতাে ভেতরের সঙ্গীত
চাই করতলে সবটুকু জ্যোৎস্না ।

চাই নির্মাণ
চাই চোখের আয়না।
চাই সংসারে মেধা
চাই সন্ন্যাসী
চাই সংসারহীনতা
চাই মেধাহীন ঝগড়া
চাই পরাজিত দ্বীপে শস্যের সম্ভার ।
চাই বেদনার ঘন নীল
চাই সরিষার ভরা ক্ষেত
চাই আরােহণ
চাই পতন।

ভালােবেসে পেতে চাই বর্তমানে
ভালােবেসে যেতে চাই সম্ভাবনায়
ভালােবেসে দিতে চাই স্বাস্থ্য
মাংস লােভী কুকুরের পাশে হতে চাই
নিরামিষ ভােজী সন্ন্যাসী।
চাই জন্মের অধিকার
চাই হত্যার অধিকার
কৃষ্ণের হয়ে রাধাকে পেতে চাই সবটুকু।
চাই অদ্ভুত খেয়াল
চাই পিতার শাসন
চাই অন্ধকারে আলাে
আলােতে চাই অন্ধকার।
যিশু হতে চাই
পশু হতে চাই
নানান কৌশলে।

তােমার মুখ দেখে দেখে
বরফের নিচে জমে যেতে চাই
বেহুলার হাত থেকে বেঁচে।
পারবে না?
পারবে
মানুষকেই জয়ী হতে হয়।
বিপরীত স্রোতে কত কেটেছি সাঁতার
নােনা জলে ভেসেছে বুকের শপথ
সেই কবে রেখেছিলে এক জোড়া পা
এখনাে ছাপ তার জামার ভিতর ।

ভয় নেই
যতটুকু চাওয়া আমার
তার সবটুকুই পারাে তুমি
যতটুকুই পারাে তুমি
ততটুকুই চাওয়া আমার।
জানােতাে আমার ঈশ্বর নেই
তুমি ঈশ্বর হতে পার
জানােতাে আমার বিশ্বাস নেই
তুমি বিশ্বাস হতে পারাে

জোকাষ্টা আমার
জননী
কেবল তােমার সম্মুখে
হাঁটু গেড়ে বসে যেতে পারি
শিশুর মুখােমুখি ।

একবার এরকম মনে হয়
ভয় হয়
যেনবা যার সাথে সংসার হয়
তার সাথে ভালােবাসা হয় না
আর ভালােবাসা হয় যার সাথে
তার সাথে হয় না সংসার।
এই রকম ভাবতে ভাবতে
পার হলাে কৈশাের যৌবন
তবু আমার শরীর থেকে কোনােদিন
খুলে না কষ্টের জামা।

মনে হয় এরকমও একবার উচ্চারণ করেছিলে
কষ্ট যেন না ছোঁয় আমারে।
আমরা যেন হই জনম সুখী।
তুমি কি জাননা?
মানুষ সুখী হতে পারে
শিল্পীর সুখ বলে কিছু নেই।
আমরাতাে উপনিষদের সেই দুই পাখি
একজন খায় আরেকজন দেখে!

জননী
প্রিয়তমা
তােমাকে লিখবার
বিপুল আগ্রহ
রাত্রির শেষে।

মন্তব্য, এখানে...

অপু শহীদ

নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক ও কথাসাহিত্যিক। জন্ম ও বর্তমান বসবাস ঢাকায়। প্রকাশিত বই: সার্বজনীন নীরবতা চুক্তি (অনুপ্রাণন প্রকাশন, ২০১৭), চৈত্র বলে মেঘে যাবো, ঈশ্বর পাঠ।

আরোও লেখা পড়ুন

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বাবুই পাখির রাফখাতা ...: বদরুজ্জামান আলমগীর

বদরুজ্জামান আলমগীর এপ্রিল, ১৪, ২০২২

বাবুই পাখির রাফখাতাপথ সবসময় মাটিতে শুয়ে থাকে নামাঝেমধ্যে পথ উঠে যায় আকাশের দিকেআকাশের দিকে উঠে গেলে পথকে আমরা আর পথ বলি না,নাম দিই গম্ভীর অয়োময় অট্টালিকা প্রাসাদনিউইয়র্কের ম্যানহাটনে ওয়া

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : কোভিডের পর বৈশাখ ...: কাজল শাহনেওয়াজ

কাজল শাহনেওয়াজ এপ্রিল, ১৪, ২০২২

কোভিডের পর বৈশাখদীর্ঘ অবিস্মরণীয় সময় কাটিয়ে অপেক্ষা থেকে মুক্তি পেলাম।বিগত দুই বছর যথাসম্ভব নিবৃত করে রেখেছিলাম অনেক রকম বাসনা থেকে। সপ্তাহর পর সপ্তাহ একা একা দিনগুলি ঘুম পাড়িয়ে ছোট ছোট �

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : নক্ষত্র নীলের গান ...: সুস্মিতা চক্রবর্তী

সুস্মিতা চক্রবর্তী এপ্রিল, ১৪, ২০২২

নক্ষত্র নীলের গানআবার বৃষ্টি গর্জনে মহাকালবৃত্ত ভাঙার অবারিত ধারাপাতআমিও শিখছি শিখছো তুমিও বেশচারিদিকে দেখো চিহ্নের সমাহারএ ঘোর সময় দুর্যোগ মারীকালপুড়ছে মানুষ মানুষের সংসারশ্রাবণ ধার

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বৈশাখ যেমন... ...: পাতা কুড়ানি

পাতা কুড়ানি এপ্রিল, ১৪, ২০২২

বৈশাখ যেমন..চৈত্রের কঠিন সর্বনাশ স্তিমিত করে বৈশাখ আসেশিলাবৃষ্টিটিষ্টি নিয়ে অনেক বেশি প্রাকৃতিকহয়ে উঠি; আমের মুকুল ঘিরে তুঙ্গে ওঠে ব্যস্ততাসমগ্র চিন্তা ও মননকে নিজের দিকে টেনে নেয়বালি চি

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : বিদায়ী চুমুর প্রতিভাত ...: মাহফুজ সজল

মাহফুজ সজল এপ্রিল, ১৪, ২০২২

মঙ্গল মহতিমনের মর্জি ধরেবন এসে চোখে জুড়ে আসন্ন রঙের মুকুলবদলি হাওয়ায় আসে গ্রহণ এক ধান-দুর্বাকুল;রঙ লাগলেই রাঙা তুমি নতুন নিহিত চুমিজেনে যাবে দিন থেকে পরবর্তী দিনের উসুল-সময়-তো বিদায়ী চুমু’

কবিতা

বৈশাখের কবিতা : একটি টিপের জন্যে ...: আবুল এহসান

আবুল এহসান এপ্রিল, ১৪, ২০২২

একটি টিপের জন্যেবিশ্ব থেকে বহুবিশ্ব অসীমেরে দিয়েছি ঠাঁইএ হৃদয় তবু ফাঁকা পড়ে থাকে।কল্পনার যা কিছু আছে বাকিদুঃখ যদি দাও তারও বেশি এঁটে যাবে সবই।নক্ষত্রেরা জাগে ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরেও যায়,সাগরের �

logo

বিষয়সমূহ >
কবিতা গল্পসরগম উপন্যাস অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক গদ্যধারা সাক্ষাৎকার রিভিউ এক্সিবিশন নাটক চলচ্চিত্র ধারাবাহিক বিশেষ-সংখ্যা বই নাটক দল

সাম্প্রতিক পোস্ট >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

সর্বাধিক পঠিত >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

সর্বাধিক পঠিত >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

সাম্প্রতিক পোস্ট >

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্প

জাতীয় কবি ও তার কথাশিল্...

কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর

মে, ২৪, ২০২৪

অরুণরাগের লগ্নে

অরুণরাগের লগ্নে

হাসিন এহ্সাস লগ্ন

মে, ২৩, ২০২৪

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ ঢেউ

গল্প : কালের সংক্ষুব্ধ...

নাঈম আহমেদ

জুলাই, ২৮, ২০২৩

বিষয়সমূহ >

কবিতা গল্পসরগম উপন্যাস অণুগল্প ও অণুগল্প বিষয়ক গদ্যধারা সাক্ষাৎকার রিভিউ এক্সিবিশন নাটক চলচ্চিত্র ধারাবাহিক বিশেষ-সংখ্যা বই নাটক দল

logo

  • স্বত্ব© দেশলাই ২০২৩
  • কারিগরি সহযোগিতায় হুমায়ুন কবির
  • লেখা পাঠাতে
  • বিজ্ঞাপন
  • ডোনেশন
  • ইবুক
  • যোগাযোগ
  • স্বত্ব© দেশলাই ২০২৩
  • কারিগরি সহযোগিতায় হুমায়ুন কবির
  • লেখা পাঠাতে
  • বিজ্ঞাপন
  • ডোনেশন
  • ইবুক
  • যোগাযোগ