রাক্ষস
আমি তার এগার মাসের
বিশ্রাম।
চড়ুইভাতি
ছৌনাচ
তুমিতুমি খেলা।
যদি উড়ে আসে, গ্রীষ্ম
তার নাম ভুলে হয়ে যায় ফিনিক্সপাখি।
আমিও গ্রাম, ভেতর বাঁশি
বাজে; কুণ ও কুঞ্জ বাজে,
আর
যখন বাজি তখন রাক্ষস ফোটে।
প্রথম… দ্বিতীয়… তৃতীয়
রাক্ষস…
তারা পঞ্চম করে, রক্ষণ
ও ভক্ষণ করে― ভেঙে যায়।
তারা ২৮৫০ কবিতা, ১৯ উপন্যাস, ১২৭ গল্প, ৪০০০ পৃষ্ঠার ডায়েরি, প্রকাশ না করেই মরে
যেতে পারে।
ইতিহাসে কোন রাজহাঁস নাই
খুঁজে দেখেছি ইতিহাসে
কোনো রাজহাঁস নাই।
যুদ্ধ আছে,
ময়ূর সিংহাসন আছে
রক্ত ও রাষ্ট্র আছে কিন্তু বকফুল নাই।
মৃতরা যেখানে থাকুক,
সানগ্লাস পড়ে আছে। তারা ভোর, তাদের জামার ভেতর স্তব্ধ ছিল।
তবু রৌদ্র চিরকাল
বৈশাখ, গুপ্তহত্যার কাছে শুয়ে থাকা সেতার।
যদি ষড়যন্ত্র হয়, টান করে বেঁধে দেবো তিনটি ইমেজ।
আমি জানি―ইতিহাস আমাকে টানে, রাষ্ট্র ও রাজহাঁস আমাকে টানে।
বকফুল থেকে বসন্ত অব্দি আমিও নদী, নদীর জলে হাঙ্গর।
হাঙ্গরের চোখে চোখে আরও স্নান।
ইতিহাসে কোনো শুভ্র নাই,
চলো রাজহাঁস দেখে আসি।
অভিনন্দন
অভিনন্দনের মতো যাই…
যতটা ছায়া তারও অধিক
রোদ আমাকে পাহারা দেয়।
শুধু বৈশাখ, স্পর্শ এলে সীমানা পার করে ফেলি।
দৌড়ে যাই, ওপারে হাততালির মহড়া।
বাজিতে ভোর হয়ে থাকি,
ভেতরে রাত ও দিনের হুলুস্থুল।
কখনো বদল হলে―আমি তুমি হয়ে যাই। তোমার শরীর নিয়ে প্রথমে আলো
তারপর অন্ধকার।
তারপর
আরও কিছু নামে মঞ্চে
উঠি। দেখি, শিশুপার্কে বিশ্রাম নিতে গিয়ে মরে যাচ্ছে অসংখ্য পাখি।
পাখিদের শৈশব ছিল,
পাখিরা ছোট ছোট রাষ্ট্র ছিল।