ইচ্ছে মাফিক রঙ লাগাও
গহীনের ঘড়িতে ঘুমিয়ে থেকেও তারা
বিচার বসিয়ে বসলো
কেনো কাঁটা এভাবে উজানকে চিহ্নিত করবে
ঘড়ি তাদের ব্যথা দিতে পারে না
ঘড়ি তাদের ফিরিয়ে দিতে পারে না
আরও কাছে নিয়ে দুই কাঁটা খুলে দেখায়
এক কাঁটার বনে ফুটে থাকা রঙহীন ফুল!
দুঃখ পেও না, এখানে নিয়মিত বৃষ্টি হয়
আম পাকা দিনে তোমাকে মনে পড়ে
তুমি তার আগে পেকেছিলে
অস্পষ্ট ধারণায় তাদের স্মাইলে হলুদ বৃষ্টি দেখে
তুমি পেকেই গেলে!
শিলাকে দায়ী করলে আমাদের সত্যিই দুঃখ হয়
নতুন করে ফিরতে হলে ঝড়ের কাছেই চিঠি দিও
অতিমারির এই রোদে কমলালেবুর রস ছিটালেও
জেনে রেখো— তুমি পাকাই থাকবে
আর ঘাঁ সেরে গজিয়ে উঠলেও উঠতে পারে
আত্মীয়র বনে লুকিয়ে থাকা—
হাজার বছর ধরে শুকিয়ে আসা শাশ্বত সেই বীজ…
তবুও সাজিয়ে দিতে হয় হালখাতা
গাছ কার কাছ থেকে বাজার-সদাই করে
এ কথা তুমি তো জানো, বলো
কত দিলে কত আসে ‘দাঁড়িয়ে’ থাকা!
সংসারে তো একই ফল, সন্তান ছিঁড়ে নেয় মানুষ
ঋণের দায়ে ঝড় এসে ভেঙে দেয় ডালপালা
তাতেই কি পার পেয়ে যায় আকাশ দেখার অপরাধ!
শুকিয়েও দেখাতে হয় এ বড় মধুর লেনা-দেনা
তা না হলে কি করে হয়— হাওয়ায় নেড়ে যাওয়া পাতা
তুমিই বলো—গাছ কার কাছ থেকে বাজার-সদাই করে
আর কে ঋণদাতার ভান করে হাসে!