অক্ষরের বুকের ওপর দিয়ে
প্রতিটি অক্ষরের বুকের ওপর দিয়ে
সদরদরজার হাতে হাত রেখে যে নদী বয়ে গেছে
তার কোলাহলেই সভ্যতা আজ চাষযোগ্য জমি
কোলাহলের বিরক্তিতে
আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি যাবতীয় পায়রা
আর সেই শূন্যস্থান ভরাট হয়ে যাচ্ছে ধাতব চিৎকারে
স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছে আমাদের সমস্ত পরিচয়
একটাও বাঁশপাতা কি খড় আমাদের হাতে নেই
যাকে মাথায় নিয়ে আমরা
পাহাড়ের সামনে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি
আর বলতে পারি দরজা বন্ধ হলেও
ভেতরে এখনও অনেকেই জেগে আছে।
আগুনের ব্যবহার
একটা ঘর আর অনেকটা খেলা নিয়ে
বিকেল হয়ে গেল
মাত্র দু’ চারটে কথা
আসলে বারবার হাতের দিকে নজর যাওয়ায়
কথা বলতে সমস্যা হচ্ছিল
আমরা হাঁটছি বলে নিজেকে আনন্দ দিই নি
সামনে সামনে এত এত সিঁড়ি আসছিল
প্রতিটা দিন নতুন করে শুরু করার মতো
পায়ের আঙুল ছোটো হতে হতে বেড়ে যাচ্ছিল জেদ
কৌশলী আগুনের ব্যবহার
আমাদের শেষ দিন ভুলিয়ে দিচ্ছিল
বাসস্টপের ঠিকানা
বাসস্টপের ঠিকানাগুলো সব একমুখী
ডিপো থেকে বেরিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায়
রোদ্দুর ভেঙে যেতে যেতে আবার তাদের ডাক আসে
কোথাও একটা নীলচে কমা তাদের দাঁড় করায়
কিন্তু তারা তো রেললাইনের সোজা হাঁটে
সোজার ঠিকানা তো দিগন্তে শোভা পায়
কে আর তাদের হাতে নিয়ে পা ফেলে হাওয়া গাড়ি
আলতো করে হাত ছুঁয়ে কথা ছিল পরে সব কথা বলার
সোজা কথায় বিশ্বাস যা হোক এখনই বলে ফেলা
তাই কথা সব মোড় ঘুরে বাঁক নিয়ে নেয়
রেললাইনের সোজা ঠিকানা এখনও রচনায় আসে
বৎসরান্তে একবার মাত্র ছাত্র
আবিষ্কারের মেজাজে তাকে ধরে ফেলে
মুখস্থই লিখে ফেলে উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত
তারপর কোথায় তারা?
কোনো এক ছুটির সকালে পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে
সেই ছাত্র আগামীর হাত ধরে
চোখ ছোটো করে দেখায় সেই সোজা ঠিকানা
অনেক দূরে একটা আলোর রেখা
শুধুমাত্র সংজ্ঞায় ধরা দেয়।