হারানোর বাসস্টপ
চিরুনি হারিয়ে ফ্যাকাশে এরিয়েল কড়া নাড়ে প্রসূতিসদনের দরজায়। শূন্য
হতে চায়। ওয়েটিংরুমে সন্ধে জমা রেখে নিয়ে যায় শিশুদের। সরাইখানা চেনাতে চেনাতে
একদল প্রশ্নচিহ্ন পেরিয়ে যায় রাস্তা। চাঁদকে বসতে বলে, বলে – না-ই আসো যদি, তবে
এতকাল মিছিমিছি পাখি উড়িয়েছিলে কেন? বাসস্টপ পেরিয়ে গেলেও এই নোনাধরা পোশাক ছাড়ব
না আজ।
আমি দেখি।
পর্দা সরানোর এই খেলা। হাওয়ামোরগের বেহালার ছত্রখান বারবার। ভিজে চুল থেকে ক্রমাগত
ঝরে পড়ে চাঁদের গন্ধ।
দুধের গন্ধ পেতে দরজা ঠেললাম।
কিছু কিছু দরজা তবু কেন যে কোনোদিনই পোশাক পাল্টানোর কৌশল শিখে উঠতে পারে না…
আমি দেখি… আরও…
আর
ব্যান্ডেজ পাল্টাতে পাল্টাতে প্যান্টের পকেটে রাখা বিস্ময়বোধক চিহ্নটিকে চুমু খাই
নাইটস্কুল
ফ্রেমের পাথরে হাসছ। অকৃপণ। অথচ জল তুমি কতদিন পাতাঝরাদের আখ্যান
হয়ে ওড়নি। এই সাদা ঘুড়ি আমি একা একাই খোদাই করেছি।
এত ঘুম, এত ঘুম থেকে রোজ বিষাক্ত চিঠি তৈরি হতে পারে।
জানবে না? মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে চেয়ে কারা কলম পাঠায় ঠিক দুপুরবেলায়?
রাত্রির ভারী আসবাব, পাখার ব্লেড – বিমূর্ত বাড়ির মতন। বারবার ডেকে বলে জড়িয়ে নাও।
বসো।
আর সেই ফাঁকে একজন, রোজ লন্ঠন হাতে ঘুম পাওয়া আলোগুলো নিবিয়ে দিয়ে যায়
দশমী
নখে করে তুলে নিয়েছ শরীরের বিকেল। এ সময়ে কোনো ঘোড়সওয়ারের আসার কথা
নয়। সমস্ত বাসস্টপ মরা হাঁসের মতন ফাঁকা।
তুমি যা সাদা দেখছ আমি যা দেখছি তা ওই না আসা ঘোড়ার অন্ধ নাইটল্যাম্প।
কাঁপছে।
হাত ডুবে আছে জলে। তাই বৃষ্টি ঝরাচ্ছে কেউ কেউ।
দেবীবিসর্জন লিখতে লিখতে কখন যে বারান্দা খুলে ঝরে পড়ছে বাজনা
ঘরে ফেরার গুমোট
পা লেগে লেগে মসৃণ হয়ে যাচ্ছে
প্রত্যেকবার নোনা লাগা ঘুমোতে যাওয়ার আগে
জন্মদিনের আস্তানা
পায়ের কাছে অক্ষরগুলো দাঁত বসিয়ে দিতেই সে পা বাড়ায় – তারপর পিছিয়ে
আসে আবার। ভ্রমণের পোশাকগুলো কয়েকলাইন বৃষ্টি
হারিয়ে যাওয়া সূর্যাস্তের নক্শায় একটা এপ্রিল মাস লেগে থাকে সবসময়ে
সেলাইক্ষেতের ধার ঘেঁষে রঙের আস্তানা
দেখতে পেয়েছিলাম
ভাঙা মশলার গন্ধ দিয়ে প-বর্গ থেকে কে যেন উঠে গেল
তিরিশ পৃষ্ঠার রাত্রিবেলা জুড়ে এখনও মাঝে মাঝে
এখনও একটা সাদাকালো দোলনা জল খেতে আসে
ঢালা বিছানায় দেরি হওয়া পূর্ণিমা
ঝরে পড়ে
মোমবাতির শব্দগুলো
পুড়ে গিয়ে তখন দুঃখ হয়ে যায়
দুঃখগুলো রাত্তিরের রবীন্দ্রসঙ্গীত